গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের কৃষকের স্বপ্ন এখন ইরি-বোরোয়
১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলে কৃষকের স্বপ্ন এখন ইরি-বোরোয়। তাই মওসুমের শুরুতেই অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ইরি বোরো ধানের চারা রোপণে। অনেক বিলাঞ্চলে কৃষকরা ইরি-বোরো রোপণ ও শুরু করেছেন পুরোদমে। ইতোমধ্যেই শতকরা ২৫-৩০ ভাগ জমিতে ইরি বোরা ধান রোপণ করা হয়ে গেছে বলে আলহাজ, শরীফ উদ্দিন সরকার, শতবর্ষী ডা. আব্দুল বারীসহ কৃষকরা জানিয়েছেন। তবে মৌসুমের শুরুতেই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সার ডিলারা চড়া দামে সার বিক্রির পায়তারা করতে পারে বলে আশঙ্কাও করছেন কৃষকরা। বিশেষ করে ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ি গারো পাহাড়ের কৃষকরা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন ইরি বোরো চাষাবাদে। তবে সার ও পানি সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা ও করছেন অনেক কৃষক। কৃষকরা বলেছেন বাজারে সব ধরণের সারের মূল্য বেশী তাই ইরি-বোরো চাষের উৎপাদন খরচ ও বৃদ্ধি পাবে। সার ডিলাররা বলছেন সারের দাম বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনা নেই।
ঝিনাইগাতী উপজেলার সারিকালিনগর গ্রামের বড় কৃষক ও সংবাদকর্মী শান্ত শিফাত বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই ৫ একর জমিতে ইরি বোরো ধান রোপণ করেছেন। উত্তর দাড়িয়ার পাড় গ্রামের মো: খোরশেদ আলম রোপণ করেছেন ৩ একর, মোক্তার আলী প্রায় ৩ একর, নয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান রোপণ করেছেন ৫ একর, পূর্ব ধাশাইল গ্রামের আব্দুর রশিদ রোপণ করেছেন ৬ একর ও উত্তর দাড়িয়ার পাড় গ্রামের কৃষক রবি মিয়া রোপণ করেছেন ৩ একর জমি।
এসব কৃষক বলেছেন যে, মৌসুমের শুরুতেই চড়ামূল্যে সার কিনতে হচ্ছে। তাই এবার ধানের উৎপাদন খরচ ও বৃদ্ধি পাবে। ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারের সারের বড় ডিলার আলহাজ, নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি রেইট মোতাবেক সার বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান। অন্যান্য ডিলাররাও জানান একই কথা।
‘ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সারের সরকারি যে খুচরা মূল্য তার চেয়ে বেশি দাম নেয়ার কোন সুযোগ নেই। কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাসহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলায় ইতোমধ্যেই ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চারা রোপণ করা হয়ে গেছে।’
‘শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) হুমায়ুন কবির দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, চলতি ইরি- বোরো মৌসুমে ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১৪ হাজার ৬২৩ হেক্টর, শ্রীবরদী উপজেলায় ১৭ হাজার ৭০০ হেক্টর, নালিতাবাড়ি উপজেলায় ২৩ হাজার ১৩৩ হেক্টর, নকলা উপজেলায় ১২ হাজার ৪২৫ হেক্টর এবং শেরপুর সদর উপজেলায় ২৪ হাজার ৬৮ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সঠিকভাবে কৃষি বিভাগ তদারকি করে যাচ্ছে।
‘ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি ইরি বোরো মওসুমে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করি। তাছাড়া সারের কোন সঙ্কট ও হবে না। কৃষি বিভাগ থেকে বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করবো।’
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সাজিদ-নোমানের ঘূর্ণিতে ১৩৭ রানেই শেষ উইন্ডিজ
কেন মেলোনির সামনে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী?
ট্রাম্পের অভিষেকে যোগ দিচ্ছেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি
জাতীয় কবির নাতির চিকিৎসায় ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন
সালথায় নিজ দোকানের মধ্যে ঝুলছিল ব্যবসায়ীর লাশ
বিএনপির ত্যাগি নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের স্থান দেওয়া হচ্ছে
কেরানীগঞ্জে অপহৃত কিশোর উদ্ধার: গ্রেপ্তার দুই
বিগত তিন নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি : উপদেষ্টা ফাওজুল
বৈষম্যবিরোধীরা সরকার পতনের আন্দোলন নয়, কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছিল” :খায়রুল কবির খোকন
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মেরুদণ্ড শক্তে আত্মনির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে : ঢাবি ভিসি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার
আজকে পরীর মন ভালো নেই
খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে গ্রাম আদলতের কার্যক্রম: কার্যকরী উদ্যাগে সুফল পেতে পারে গ্রাম বাংলার জনগণ
জামায়াতে ইসলামীই বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে: শাহজাহান
কোচ বরখাস্ত, জাতীয় দলের দুয়ার খুলল কোর্তোয়ার
মির্জাপুরে পাল্টাপাল্টি হামলায় আহত ৮
বান্দরবানে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
কামরাঙ্গীরচরে চালু হচ্ছে ন্যায্যমূল্যের জনতার বাজার
কালীগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা লাগাই প্রাণ গেল মোটরসাইকেল চালকের
‘টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া’